মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে তা বন্ধে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও ইসলামী দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি সহ বিদেশী হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছেন । আজ রোববার রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। বিক্ষোভ যোগ দেয় কুয়ালালামপুরের হাজার হাজার মানুষ। এতে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে পরিচিত ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচির নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন নাজিব রাজাক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া। তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা মোকাবিলা নিয়ে এবং রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র থেকে তীব্র সমালোচনা করে যাচ্ছে। ওই নির্যাতনের কারণে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, মিয়ানমারে চলমান এ নির্যাতনকে শনিবারই মালয়েশিয়া ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতি নির্মূল বলে আখ্যায়িত করেছে মালয়েশিয়া। তাই এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ আহ্বান করলেন নাজিব রাজাক। তিনি আজকের সমাবেশে বলেছেন, বিশ্ব বসে বসে দেখতে পারে না চলমান এই গণহত্যা। উল্লেখ্য, অন্য সদস্য দেশের বিষয়ে আসিয়ানভুক্ত কোনো দেশ নাক গলাতে পারে না বলে মালয়েশিয়াকে আগেই সতর্ক করেছিল মিয়ানমার। কিন্তু সেই সমালোচনা গায়ে না মেখে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক র্যালি করলেন। তিনি উল্টো মিয়ানমারকে সতর্ক করে দিলেন। বললেন, গত বছর আসিয়ান নিজেকে একটি একক সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর সনদে বলা হয়েছে মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করতে। কিন্তু মিয়ানমারে কি তা হচ্ছে! অং সান সুচির নিষ্ক্রিয়তারও সমালোচনা করেছেন নাজিব রাজাক। তিনি বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি সরিয়ে রেখেছেন সুচি। তিনি সুচিকে প্রশ্ন রাখেনÑ কিভাবে এটি হতে পারে? আমাদের মধ্যে তো সব ইস্যুতে আলোচনা হওয়া উচিত। আজকের র্যালি আয়োজন করে নাজিব রাজাকের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ও প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি। এতে যোগ দেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে মালয়েশিয়া। আন্ডার-২২ ফুটবল ম্যাচে অংশ নেয়া বাতিল করে দেশটি। মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফয়সাল ইসলাম মুহাম্মদ কাসিম বলেছেন, সঙ্কট সমাধানে মালয়েশিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে তিনি তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়া মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে দিক। তাতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কয়েক শত মানুষকে হত্যা করা হয় রাখাইনে। তারপর এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তপাত চলছে সেখানে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
