মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে শিথিল করেছেন। মিয়ানমারের শাসক দলের নেত্রী অং সান সুচি’র সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক সপ্তাহ পর এ নির্বাহী আদেশ দিলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ১৯৮৯ সালে দরিদ্র দেশসমূহের জন্য বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা থেকে মিয়ানমারকে বঞ্চিত করা হয়। হোয়াইট হাউস বলেছে, গণতন্ত্রের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির অর্থ হলো আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য দেশটি আর হুমকি নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাপকভাবে পরিবর্তনশীল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির কয়েক দশকের অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তি দিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা, সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারই মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পথে বড় ধরনের অগ্রগতির স্বীকৃতি।
মার্কিন হাউস ও সিনেট স্পিকারদ্বয়ের কাছে লেখা এক চিঠিতে ওবামা বলেন, ‘বার্মা এখনো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে গণতন্ত্রের ভিত পোক্ত করার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বার্মার সরকার ও জনগণের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য উপায় ব্যবহার করতে পারে।’
অনেক কোমপানি এখন যুক্তরাষ্ট্রে কম ট্যারিফে প্রবেশ করতে পারে। তবে এখনো কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে। সাবেক সামরিক জান্তার সঙ্গে সমপর্ক রয়েছে এমন অন্তত ১০০ কোমপানি ও ব্যক্তিবিশেষের একটি কালোতালিকা কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তার অধীনে পরিচালিত হয়েছে মিয়ানমার।
প্রায় ১৫ বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সুচি গৃহবন্দি ছিলেন। কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের নভেম্বরে। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতারোহণ করে সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। সামরিক জান্তার করে যাওয়া বিধানের দরুন সুচি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তবে তাকেই দেশটির নেতা ভাবা হয়।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
