মুখ খুললেন কার্লাইল । বললেন, কেন তিনি দিল্লি যেতে পারেননি? নিউ ইয়র্কের  টাইম টিভিতে  প্রচারিত সাক্ষাৎকারে দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন বাতিল, বাংলাদেশের আইনের শাসন পরিস্থিতিসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।
কার্লাইল বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় যখন দিল্লি পৌঁছি তখন মোবাইল অন করার পর ম্যাসেজ পাই, তাতে লেখা আমার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এটি ভারত করেছে বাংলাদেশ সরকারের চাপেই।
বৃটেনের হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড অ্যালেক্স কার্লাইল ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনায় বলেন, ১১ই জুলাই আমি স্বাভাবিক নিয়মেই বিজনেস ভিসা নিয়ে নয়া দিল্লি যাই। ভিসার আবেদনে নিজেকে আইনজীবী হিসেবেই বর্ণনা করেছি।

আমি সেখানে যাই খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে। এটা নয়া দিল্লিতে করতে চেয়েছি এ কারণে যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকদের বড় অংশ নয়া দিল্লিতে অবস্থান করেন।

সংবাদ সম্মেলনটি আমি ঢাকাতেও করতে পারতাম কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাকে ভিসা দেয়নি। কোনো কারণ ছাড়াই ঢাকা যেতে বাধা দেয়া হয়েছে, যার পেছনে কোনো কারণ আমি খুঁজে পাইনি। বিষয়টি আমি বৃটিশ হাইকমিশনকেও অবগত করেছি।

একজন আইনজীবী হিসেবে খালেদা জিয়ার মামলার বিস্তারিত খতিয়ে দেখেছি। যেসব অভিযোগে তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে এগুলো আসলে স্পষ্ট ধোঁকাবাজি। দোষী সাব্যস্ত করার ন্যূনতম কোনো প্রমাণ নেই। ‘সোকল্ড জিয়া অরফানেজ’ মামলা পুরোটাই ভিত্তিহীন। ‘জিরো অ্যাভিডেন্স’-এর ভিত্তিতে সাজা দেয়া হয়েছে।
আমরা এ মামলা খতিয়ে দেখতে একটি টিমকে আহ্বান করেছিলাম যেটাকে বলা হয় ‘ফরেনসিক অ্যাকাউন্টেট’। তারা অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেছে আর বলেছে, এখানে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাতে প্রতারণা করার মতো কিছুই পাওয়া যায়নি। বেগম খালেদা জিয়া কোনো অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বা কোনো অপরাধ করেছেন এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটা কীভাবে মামলা হতে পারে? আমি বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরাতেই এ মামলা।

কার্লাইল বলেন,  খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতেই এ মামলা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একইভাবে মামলার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তাকে হয়রানি করতে বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার পাঁয়তারা করেছিল। বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বুঝতে পেরে এবং মামলার অভিযোগ মিথ্যা জানার পর ইন্টারপোল পরে সে নোটিশ প্রত্যাহার করে নেয়।
এটা এখন সার্বিকভাবে প্রমাণিত, আইনের শাসনের সব ধরনের বাধ্যবাধকতা থেকে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ সরকারের বিচ্যুতি ঘটেছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031