অসৎ উদ্দেশ্যে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।

চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে দুর্ব্যবহারও একই সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বীকার করেন তিনি।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এমন মুচলেকা দিয়ে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি। মুচলেকায় নিজের কৃতকর্মের জন্য বিএমএ
চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।

মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মো. দিদারউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. অজয় কুমার দে, ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ঋভুরাজ চক্রবর্ত্তী মুচলেকায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে এক পরিচিত রোগীকে দেখতে যান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। এ সময় রোগীর স্বজনরা জানান যে তারা ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। এ কথা শুনে শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বাবুল। বিষয়টি জানতে পেরে চিকিৎসকরা দ্রুত এসে বাবুলকে আটকে রাখেন। এসময় হেনস্থার শিকার হন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলও। পরে মুচলেকা দিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তি পান বাবুল।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031