বাংলাদেশ ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে । ২০০৬ সালের সবশেষ সিরিজে দুই দলের যারা খেলেছিলেন তারা কেউই এ দলে ছিলেন না। দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্য সিরিজটি ছিল ‘অভিষেক’।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১-এ ড্র হয়েছে। ঢাকা টেস্টে জয় পায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ ড্র হলেও দুই দলের ক্রিকেটাররা ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছে।

সিরিজের ‘পোস্টমর্টেম’ করে বিভিন্ন জায়গায় উন্নতি করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি। তা দেওয়া হলো :

মানসিক পরিপক্কতা
আমাদের যখন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন দেখা যায়, একটা সেশন এত বাজে যায়। ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন হয়ে যায়। আমাদের ‘ম্যাচিউরিটির’ সমস্যা আছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দক্ষতায়, সামর্থ্যে ঘাটতি আছে। যখন টেকনিক্যালি আপনার কোনো খুঁত থাকবে তখনই কিন্তু আপনি মানসিকভাবে একটু দুর্বল হবেন। তখন রক্ষণাত্মক খেলার আত্মবিশ্বাস থাকবে না। তখন হয়তো স্কোর করার জন্য আপনি ভিন্ন কোনো পথ বেছে নেবেন।

পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা
আমরা হয়তো টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড। হয়তো টেকনিক্যালি আমরা খুব ভালো কিন্তু অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার। এ ধরনের উইকেটে কীভাবে টিকে থাকতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে- এই অভিজ্ঞতা কিন্তু আমাদের জন্য বিরল। গত কিছু দিনে দুই বা তিনটা টেস্টে এই সুযোগ পেয়েছি কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে না-ই পারি তাহলে কিন্তু শিখতেও পারব না। আপনি যতই অনুশীলন করেন না কেন, এমন পরিস্থিতি কিন্তু শুধু টেস্টেই পাওয়া যায়। এখানে ভালো একটা সুযোগ ছিল। প্রতিপক্ষের বোলাররা জানে, যখন আমরা টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দিতে পারবে, তখন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেই চাপ নিতে পারবে না। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে আমাদের অনেক কাজ করার রয়েছে। শুধু ডিটারমিনেশন থাকলেই হবে না, আমাদের কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপারও আছে, যা নিয়ে কাজ করতে হবে।

পর্যাপ্ত সুযোগ
১৭ বছর হয়তো হয়ে গেছে- আমাদের টেস্ট একাদশ প্রতি ম্যাচেই কিন্তু একটা-দুইটা-তিনটা করে পরিবর্তন করতে হয়। ব্যাটসম্যানরা খুব কমই নিয়মিত টেস্ট ম্যাচ খেলে। তাদের জন্যও কঠিন। মুমিনুলের কথাই ধরেন, এত দিন পর এসে খেলা, এমন চাপে থাকা। আমি মনে করি, আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি অন্যান্য দলের চেয়ে একটু কঠিন।

পেস বোলিং
পেসাররা অনেক দিন পরপর টেস্ট ম্যাচ খেলে। আমাদের তো ৪-৫টা বোলার নেই, যারা অনেকক্ষণ ধরে এক জায়গায় বোলিং করে যেতে পারে। পেসারও নেই সেরকম। কাকে খেলাব বলেন। মুস্তাফিজ তো মাত্রই সুস্থ হলো। চট্টগ্রামে ও অনেক প্রচেষ্টা করেছে। আমাদের হয়তো ২-১ জন বোলার আছে, যারা এই কাজটি করতে পারে। এই জায়গাতে আমরা একটু পিছিয়ে আছি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031