ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি দেশে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২০২ জনে। অপরদিকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ১৫৮।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৭০ জন। আর মারা গেছেন ২ হাজার ৯৮১ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬ এবং মারা গেছে ৭৭ জন। অপরদিকে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫০২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের।

জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭০৬ জন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ জন। জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অপরদিকে, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১২ এবং মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

এছাড়া জার্মানি, স্পেন, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়ায়, কানাডায়, সুইজারল্যান্ডসহ ৭০টিরও বেশি দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই আপাতত এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031