করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে । গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ২৩৭৮ জন। এর মধ্যে ইতালিতেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪৩ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৭৬৯ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৯২ জনে। অপরদিকে ১ হাজার ৮ হাজার ৮৭৯ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ৬১৪ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুতে ইতালির পরই রয়েছে স্পেন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬৮০ জনের। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯৯১ জন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ২২২ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৫৪৮০৮ এবং নিহত ৭৭৫ জন।

জার্মানিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৯ জনের। ইরানে গত ২৪ ঘন্টায় নিহত হয়েছেন ১২২ জন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৩৪ জন। এ তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটার।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত আড়াই মাসে বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ২১৮ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮১ জন। তবে এখন চীনে এই হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায়। চীন জানিয়েছে, শনিবার ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই অন্য দেশ থেকে প্রবেশ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নিহত হয়েছেন ৪ জন। চীনের বাইরে ইতালিতে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজার ১৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৮২০ জনের।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031