ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বিগত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই ঢাকা দক্ষিণে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন । এসমস্ত প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন মেয়র।

বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

প্রতি বুধবারের নিয়মিত সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, মৎস্য ভবন, শাখারী বাজার, নয়াবাজার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢাকা ডেমরা রোডের টোল প্লাজা এবং ঢাকা মেডিকেল সংলগ্ন নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজ পরিদর্শন করেন মেয়র তাপস।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সময়ে যত্রতত্র যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি, তার বাস্তবায়নও সঠিকভাবে হয় না। এগুলোতে কোনো দুর্নীতি আছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

কেস (CASE) প্রকল্পের আওতায় পরিবেশবান্ধব ফুটওভার ব্রিজের গাছ নেই নির্মাণের কিছুদিন পর থেকেই- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘এজন্য আমি মনে করছি যে, সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করা দরকার, যথার্থতা যাচাই করা দরকার। কারণ, অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছিল যেগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। সুতরাং সম্ভাব্যতা যাচাই না করে যত্রতত্র যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে দেখি সেগুলো সঠিক বাস্তবায়নও হয় না এবং সেগুলো কার্যকরও হয় না।’

মৎস্য ভবনের কর্নারে, হাইকোর্টের সামনে এবং পুরান ঢাকার জজ কোর্টের সামনে নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজ দুটির খুবই চাহিদা রয়েছে। এ দুটোর কাজ জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ সম্পন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, বাকি বেশ কয়েকটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে এবং অনেকগুলো প্রকল্পের দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজই হয়নি। যেমন আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, ঢাকা মেডিকেলের সামনের এই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের কাজ এখনো শুরুই হয়নি বলা যায়। শুধু লিফট ফ্লোর করা হয়েছে। এ রকম দুটো ফুট ওভারব্রিজে লিফটখাতে সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো সম্ভাব্যতা যাচাই করা উচিত ছিল। কারণ এগুলো কতটুকু যথার্থ হবে, মানুষ কতটুকু লিফট ব্যবহার করবে সেসব কার্যকারিতা যাচাই না করে প্রকল্প গ্রহণ করা সমীচীন হয়নি। এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, যাতে করে এসব কাজে দুর্নীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকে এবং জনগণ যেন এটার সুফল পায়।

ঢাকার রাস্তায় চলা পুরনো বাস ও নিবন্ধনহীন রিকশার বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর রিকশা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আবেদন পরবর্তী নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই মাসের মধ্যেই একটি পর্যায়ে আমরা যেতে পারব। আর গতকাল আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির যে বৈঠক করেছি সেখানে দুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। তার মধ্যে একটি হলো পুরাতন বাস বাদ যাবে, নতুন বাস সংযোজিত হবে।

এসময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031