বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর পর্যন্ত প্রধান মহাসড়কের একটি অংশে এ মহড়া চালানো হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ খবর দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই মহাসড়কটির একটি বড় অংশে গাড়ি চলাচল অন্য দিকে সরিয়ে দিয়ে যুদ্ধবিমান ওঠানামার জন্য খালি করা হয়। এরপর রাতেই সেখানে বিমানবাহিনী যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ও এফ-১৭ এর ওঠানামা করে।
এ নিয়ে তৎক্ষণাৎ টুইট করেন পাকিস্তানের খ্যাতিমান সাংবাদিক হামিদ মির। তিনি তার টুইটে বলেন, ‘রাত ১০:২০ টা। ইসলামাবাদের আকাশে উড়েছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।’ এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পাড়ায়। রাস্তায় নেমে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বেশ কিছু পর বন্ধ হয় মহড়া।
এ বিষয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মুখপাত্র কমোডোর জাবেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, তারা (যুদ্ধবিমান) রাস্তায় ওঠানামা করেছে। এটা বেশ ক’বছর ধরে হয়ে আসছে। আসলে মহাসড়কটি ব্যবহার উপযোগী রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এই নিয়মিত প্রশিক্ষণ হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। সময় মিলে যাওয়াটা আসলে কাকতালীয় (কোনইনসিডেন্স)।
এদিকে কমোডোর জাবেদ মোহাম্মদ আলী এ দাবি করলে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত পাল্টা জবাব দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে রাখা হয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ সৈন্য নিহত হয়। হামলাকারীরা পাকিস্তানের বলে মনে নয়াদিল্লি। এ ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে ‘উপযুক্ত জবাব‘ দেওয়ার কথা বলে আসছে ভারত। জবাবে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও দেওয়া হচ্ছে ‘অস্তিত্ব’ রক্ষায় ‘পরমাণু বোমা’ হামলার ইঙ্গিত।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
