স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফরিদুল ইসলাম (৩৫) চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ডিশ সংযোগ দখলের সময় বাঁধা দিলে রিয়াজ চৌধুরী রাসেল ফরিদুল ইসলামকে বুকে গুলি করে।
রিয়াজ চৌধুরী রাসেল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী। আর যুবলীগ কর্মী ফরিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
নগরীর চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাকলিয়া ডিসি রোড়ে ক্যাবল টিভির সংযোগ দখল বেদখলের ঘটনায় একজন নিহতের খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে নিহত ফরিদুল ইসলামকে এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফরিদুল ইসলামকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক এ সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকে গুলি লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা ১১টায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নামধারী রিয়াজ চৌধুরী রাসেল, মুরাদ, সারোয়ার, মজনু ও মাসুদের নেতৃত্বে অর্ধশত সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক এর লাইন দখল করে নেয়।
সন্ত্রাসীরা ডিসি রোড কবরস্থান থেকে মিয়ার বাপের মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদুল ইসলামসহ কয়েকজন এ কাজে বাঁধা দিতে গেলে রাসেল ফরিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ ফরিদুলকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক এর পার্টনার ও সিসিএলএর পরিচালক শ্যামল পালিত ও প্রসূন কান্তি নাথ বলেন, গত কয়েকমাস ধরে এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ আমাদের কর্মচারীদের মারধর ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হুমকি দিয়ে আমাদের সাইট দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
শেষে তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে দলীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিকেররো বেশী সংযোগ দখল করে নেয়। এর আগে সন্ত্রাসীরা দিদার মার্কেট এলাকায় আমাদের দুটি সাইটের প্রায় ১২০০ লাইন দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক এর পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ জিডি হিসেবে রের্কড করেছে।
শ্যামল পালিত বলেন, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও এ ব্যাপারে বার বার অভিযোগ দিয়ে কোন সহযোগীতা পায়নি। চকবাজার থানার ওসি আমাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, এরা মেয়রের লোক, আমি যেন মেয়রের সঙ্গে কথা বলি। শেষ পর্যন্ত আজ হত্যাকান্ড ঘটাল তারা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।