উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা জয়নালের পায়ে গুলি করেছেন । এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলে মঞ্জুরুল আলমের অনুসারী পরিবহন শ্রমিক ও দলীয় নেতাকর্মীরা গতকাল সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের হাটহাজারী চৌমুহনী বাসস্টেশন মোড়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। বিকালে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। নেতাকর্মীরা জানায়, শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে মঞ্জুরুল আলমকে আটক করে কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন। ওসি জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা জয়নাল ও আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে অফিসার্স ক্লাবেই ছিলেন। সেখান থেকে রাত ১২টায় বের হবার পথে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
একপর্যায়ে মঞ্জুরুল আলম নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে জয়নালের পায়ে গুলি করে। ওসি বলেন, পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মঞ্জুরুল আলমকে অসংলগ্ন অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সম্ভবত এ সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন। আহত জয়নালকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে তার পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে। জয়নাল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওসি জসিম উদ্দিন জানান, জয়নাল আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা। তার ভাই মো. আলমগীর আনোয়ারা থেকে নির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কাউন্সিলর। আলমগীর এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে মঞ্জুরুল আলমকে আটকের খবরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের হাটহাজারী চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় তার অনুসারীরা। গতকাল সকাল ৯টায় সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে ব্যারিকেড দিলে দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কের চৌমুহনী বাস স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম থেকে নাজিরহাট-ফটিকছড়ি উপজেলা, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় যানবাহন চলাচল করে। ফলে ব্যারিকেডের কারণে বাস স্টেশন মোড়ে চতুর্মুখী শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগের কবলে পড়ে। রাঙামাটি থেকে আসা কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী হাটহাজারী বাস স্টেশনে আটকা পড়া একটি বাস থেকে মুঠোফোনে বলেন, চৌমুহনী ঘিরে চারপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। চৌমুহনী মোড়ে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করছে। তবে তাদের বেশির ভাগই পরিবহন শ্রমিক। আশপাশের দোকানপাটগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আটকে পড়া যানবাহনের শহরমুখী নারী-শিশুসহ যাত্রীরা পায়ে হেঁটে হাটহাজারী বাসস্টেশন মোড় পেরোচ্ছে। এরপর সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ভাড়া বেশি হাঁকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। হাটহাজারী থানার এসআই মনির হোসেন জানান, মঞ্জুরুল আলমের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। ফলে তার অনুসারী লোকজন হাটহাজারী বাসস্টেশন মোড়ের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম থেকে কোনো যানবাহন নাজিরহাট-ফটিকছড়ি, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি সড়কে ঢুকতে পারছে না। একইভাবে এসব সড়কের কোনো যানবাহন চট্টগ্রামের দিকে যেতে পারছে না। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সামাল দিতে তিন-চার শ’ পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। অনেক চেষ্টার পর বিক্ষোভকারীরা বিকালের দিকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে মঞ্জুরুল আলমকে ছেড়ে না দেয়ায় অনুসারী নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা চলছে। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা জয়নালও ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। এই ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জরুল আলম যুবলীগ নেতা জয়নালকে পায়ে গুলি করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তাদের কাছেরই কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী। যদিও এ ব্যপারে পুলিশ প্রশাসন কোনো রকম মুখ খুলেননি। আর এ নিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও উত্তেজনা চলছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা জয়নালের পায়ে গুলি করেছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলে মঞ্জুরুল আলমের অনুসারী পরিবহন শ্রমিক ও দলীয় নেতাকর্মীরা গতকাল সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের হাটহাজারী চৌমুহনী বাসস্টেশন মোড়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। বিকালে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। নেতাকর্মীরা জানায়, শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে মঞ্জুরুল আলমকে আটক করে কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন। ওসি জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা জয়নাল ও আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে অফিসার্স ক্লাবেই ছিলেন। সেখান থেকে রাত ১২টায় বের হবার পথে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
একপর্যায়ে মঞ্জুরুল আলম নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে জয়নালের পায়ে গুলি করে। ওসি বলেন, পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মঞ্জুরুল আলমকে অসংলগ্ন অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সম্ভবত এ সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন। আহত জয়নালকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে তার পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে। জয়নাল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওসি জসিম উদ্দিন জানান, জয়নাল আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা। তার ভাই মো. আলমগীর আনোয়ারা থেকে নির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কাউন্সিলর। আলমগীর এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে মঞ্জুরুল আলমকে আটকের খবরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের হাটহাজারী চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় তার অনুসারীরা। গতকাল সকাল ৯টায় সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে ব্যারিকেড দিলে দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কের চৌমুহনী বাস স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম থেকে নাজিরহাট-ফটিকছড়ি উপজেলা, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় যানবাহন চলাচল করে। ফলে ব্যারিকেডের কারণে বাস স্টেশন মোড়ে চতুর্মুখী শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগের কবলে পড়ে। রাঙামাটি থেকে আসা কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী হাটহাজারী বাস স্টেশনে আটকা পড়া একটি বাস থেকে মুঠোফোনে বলেন, চৌমুহনী ঘিরে চারপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। চৌমুহনী মোড়ে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করছে। তবে তাদের বেশির ভাগই পরিবহন শ্রমিক। আশপাশের দোকানপাটগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আটকে পড়া যানবাহনের শহরমুখী নারী-শিশুসহ যাত্রীরা পায়ে হেঁটে হাটহাজারী বাসস্টেশন মোড় পেরোচ্ছে। এরপর সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ভাড়া বেশি হাঁকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। হাটহাজারী থানার এসআই মনির হোসেন জানান, মঞ্জুরুল আলমের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। ফলে তার অনুসারী লোকজন হাটহাজারী বাসস্টেশন মোড়ের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম থেকে কোনো যানবাহন নাজিরহাট-ফটিকছড়ি, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি সড়কে ঢুকতে পারছে না। একইভাবে এসব সড়কের কোনো যানবাহন চট্টগ্রামের দিকে যেতে পারছে না। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সামাল দিতে তিন-চার শ’ পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। অনেক চেষ্টার পর বিক্ষোভকারীরা বিকালের দিকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে মঞ্জুরুল আলমকে ছেড়ে না দেয়ায় অনুসারী নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা চলছে। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা জয়নালও ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। এই ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জরুল আলম যুবলীগ নেতা জয়নালকে পায়ে গুলি করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তাদের কাছেরই কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী। যদিও এ ব্যপারে পুলিশ প্রশাসন কোনো রকম মুখ খুলেননি। আর এ নিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও উত্তেজনা চলছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
