রাজশাহীতে আবারও রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া শুরু হয়েছে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে । মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এভাবে শাস্তি দিয়ে রাস্তায় থাকা মানুষকে ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।

সকালে শহর ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার তিন স্থানে পথ আটকাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তবুও মানুষের বাজারমুখী স্রোত থামানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় নগরীর সাহেববাজার এলাকায় খুব প্রয়োজন ছাড়া যাকে দেখা যাচ্ছে তাকেই রাস্তায় ১৫-২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। পরে তাদের বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও রাজশাহীতে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে রাজশাহী নগরীর সব মার্কেট। ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা-অটোরিকশা চলাচলে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানিরা। এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন সকালে আরডিএ মার্কেটে অভিযান চালিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করার অপরাধে ‘রাজ্জাক বস্ত্রালয়’ নামের একটি কাপড়ের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এটি দেখে মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। নগরীর ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না বলেই জনস্বার্থে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সকল উপজেলাতেও একইভাবে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে। জনসমাগম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930