জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আগামী নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হলে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচনে তারাই ক্ষমতায় আসছেন। এজন্য ক্ষমতাসীন দলকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কামাল হোসেন। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষক পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে আসছে। আপনাদের হাতে আর মাত্র ২০ দিন সময় আছে। এখনও সময় আছে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, এর মধ্যে কিছু ভালো, প্রশংসনীয় কাজ করে যান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করুন।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারা তো ইনশাআল্লাহ হেরে যাচ্ছেন। এরপর জনগণ আপনাদের কীভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। আপনাদের নেতাকর্মীদের জনগণকে মোবারকবাদ দেয়ার সুযোগ করে দিন। ৩১ তারিখ যাতে আমরাও আপনাদের মোবারকবাদ জানাতে পারি সেই সুযোগ করে দিন।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির মতো ভোট এ দেশে আর হতে দেয়া হবে না বলেই আমরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এই নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। ভোটে কারচুপির চেষ্টা হলে ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে রূখে দাঁড়াব।’

সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় নেমে যান। ভোট চাওয়া অপরাধ নয়। সবাই ঘর থেকে বের হয়ে পরিবর্তনের পক্ষে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান। বাধা দিলে রুখে দাঁড়ান।’

নিজের কথা উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি তো আছিই। কথা বলছি, জনমত গঠন করছি, সমর্থন সৃষ্টি করছি। এই ৮০ বছর বয়সে এর চেয়ে আর কী করার আছে!’

এনবিআর তার আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা যা করতে পারে করুক।’ এ সময় তিনি এই সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে দাবি করে এসবের কোনো বিচার হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

আলোচনা সভায় কামাল হোসেন বলেন, ‘বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন করছি। আপনারা সব ক্ষমতা রাখেন। এটি কেন হলো তা বের করুন। আপনারা না পারলে আমাদের বলুন, আমরা সহযোগিতা করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। যেকোনো সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা হওয়া উচিত বিনা বিচারে হত্যা বন্ধ করা।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী। বক্তব্য দেন সাবেক সচিব মোফাজ্জ্বল করিম, শেখ শহীদুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, ফরিদউদ্দিন ফরিদ, অধ্যাপক অমিত আজাদ, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031