কাশ্মীর বিদেশ থেকে প্রত্যাগতদের কিভাবে আতিথেয়তা দিতে হয় তার উদাহরণ তৈরি করল । ওরা মেডিকেলের ছাত্র। বাংলাদেশে পড়ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত দেশের তালিকায় পড়েছে। তাই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। ঢাকা থেকে বিমানে চেপে ২২ মার্চে তারা কাশ্মীরের বিমানবন্দরে পৌছায়। সেখান থেকেই তাদের জামাই আদরে নিয়ে যাওয়া হয় কাশ্মীরের বিশ্বখ্যাত পর্যটন স্পট পাহলগামে। তারা সংখ্যায় কমপক্ষে ৫৯ জন। এমবিবিএস শিক্ষার্থী। সেখানেই ১৪ দিন তাদের পর্যবেক্ষণে কাটাতে হবে।
এদিকে কাশ্মীরের ডেইলি এক্সেলসিয়র একইদিন প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলেছে, ১২০০ বিদেশ ফেরত যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ প্রত্যাগত , তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, এক কাশ্মীরি তরুণী এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। কিন্তু এয়ারপোর্টে তিনি তার ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেন। বলেছিলেন তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।
আরো দুই ভাই। তারা বাংলাদেশের একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তাদের একজন বাংলাদেশ থেকে গিয়ে কাশ্মীর এয়ারপোর্টে বলেন, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। তাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কিন্তু আরেক ভাই সড়ক পথে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। কাশ্মীরি একটি মুখরোচক খাবার হলো ওয়াজান। এই ভাই বাড়ি ফিরে ওয়াজান এনজয় করছিলেন। গ্রামে পৌছানোর পরে স্মার্ট প্রতিবেশীরা সন্দেহ করেন। কারণ তারা জানেন বাংলাদেশ আক্রান্ত দেশ। তাই তারা কন্টোল রুমে খবর দেন। টিম দ্রুত সেখানে ছুটে যায়। তার সম্পর্কে পত্রিকাটি একটি টুইট বার্তার বরাতে বলেছে, সিম্পটোমেটিক বা লক্ষণযুক্ত।
২৩ মার্চ কাশ্মীর টাইমস জানায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত ওই ৫৯ শিক্ষার্থী ২২ মার্চ বাংলাদেশ থেকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তদের দ্বারা স্ক্রিনিং করার পরে সকল ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনের জন্য পাহলগামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আবাসন হিসেবে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত বিল্ডিং এবং কুঁড়েঘর ঠাই হয়।
সহকারী কমিশনার রাজস্ব, অনন্তনাগ, সৈয়দ ইয়াসির বলেছিলেন যে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিংয়ের পরে ৫০ জন শিক্ষার্থী বিমানের মাধ্যমে এসে সরাসরি পাহলগামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অনন্তনাগের সহকারি কমিশনার(রাজস্ব) সৈয়দ ইয়াসির জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে নয় জন জম্মু থেকে সড়কপথে ভ্রমণ করেছিল এবং তাদেরও স্ক্রিনিংয়ের পর পহলগামে নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও এই ছাত্রদের মধ্যে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণযুক্ত ছিলেন না, তবুও তাদের সকলকে পর্যবেক্ষণে আনা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, “স্ক্রিনিংয়ের সময় এঁরা সকলেই স্বাভাবিক ছিলেন। এদের কারো কোনও লক্ষণ ছিল না। তবে আমরা কোনও ঝুকি নিতে চাইনি । তাই তাদের পাহলগামে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,”। 
তিনি বলেন, ওই পর্যটন স্পটে শিক্ষার্থীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধাই মজদু রয়েছে।
জনগণ এবং অভিভাবকদের আশ্বস্ত রাখতে কর্মকর্তারা তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার ছবিও শেয়ার করেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031