প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট ভারত খুলে দেয়ায় । এতে ভাসছে তিস্তাপাড়ের লালমনিরহাট। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। পাউবো সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রবিবার রাত থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে সোমবার দুপুরে বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো আরো জানায়, পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজেরও অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নসহ পাঁচ উপজেলার চর এলাকাগুলোর ১৮টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজ তলাসহ সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। অনেকে ঘর-বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দী পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। ত্রাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান জানান, ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি।
