শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে একদিনে একটি করে পরীক্ষা নেয়া হলেও ভবিষ্যতে একইদিনে দুটি করে পরীক্ষা নেয়ার আভাস দিয়েছেন । এজন্য অভিভাবক ও আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনের পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রীকে দুটো পরীক্ষার মধ্যে আরও সময় বাড়ানোর দাবি করেন। এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আগে পাঁচ দিনে সব পরীক্ষা নেয়া হতো। ভবিষ্যতে দুই বেলা পরীক্ষা নেওয়া হবে, এখন থেকে সেই প্রস্তুতি নিন।

আগামীতে সব বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীলে প্রশ্ন হবে কি না- একজন অভিভাবকের এমন প্রশ্নে নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি ভালো পদ্ধতি। এতে চিন্তা করে উত্তর লেখায় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ে।’ তিনি বলেন, আপনাদের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি জানে, এছাড়া তারা সচেতনও। তাই তাদের নিয়ে আপনারা নার্ভাস হবেন না।

কোনোভাবেই যেন প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় অভিভাবকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করছি প্রশ্ন ফাঁস হবে না। তবে অনেকে ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে তা বিক্রি করে। আপনারা সেসব প্রশ্নের পেছনে ছুটবেন না।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তরপত্র যেন সমানভাবে মূল্যায়ন করা হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, একই ধরনের উত্তরপত্রে সব শিক্ষার্থী যেন সমানভাবে নম্বর পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুই হাজার প্রধান পরীক্ষককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা বাকি পরীক্ষকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবেন।

কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, আধা ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে এসেছে, প্রশ্ন বিতরণের আগেই উত্তরপত্রে বিভিন্ন তথ্য পূরণ করেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের অনেক খুশি দেখেছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা ভালো পরীক্ষা দেবে।

মন্ত্রী বলেন, আগে শিক্ষার্থীরা দলবল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকত। কিন্তু তাদের অসুবিধা এড়াতে গত তিন বছর ধরে সংশ্লিষ্ট দু-একজনকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছেন। এবারও তাই করেছেন। এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

নাহিদ বলেন, সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর পরীক্ষার্থীর যে সংখ্যা ছিল এখন সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031