অর্থমন্ত্রণালয় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে লে-অফ ঘোষণা হলে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কোন আর্থিক সহায়তা পাবে না জানিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়, কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি লে-অফ ঘোষণা করে তবে তারা প্যাকেজের আওতায় কোন আর্থিক সহায়তা পাবে না।

সার্কুলারে বলা হয়, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান ৮০ শতাংশের বেশি সরাসরি পণ্য রপ্তানি করে তাদের এল/সি বা ঋণপত্র পরীক্ষা সাপেক্ষে কেবলমাত্র শ্রমিক বা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল হতে ঋণ প্রদান করা যাবে। ডিমড বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকরা এসএমই’র জন্য গঠিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন, যা দিয়ে শ্রমিক বা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।’

সার্কুলারের সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়, কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি লে-অফ ঘোষণা করে তবে তারা প্যাকেজের আওতায় কোন আর্থিক সহায়তা পাবে না।

জানা গেছে, গত ২৬শে মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর শিল্প উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পরলে বেশ কিছু কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে আসছিল।

প্রচলিত শ্রম আইনের আওতায় ধারা ১২ ও ১৬ প্রয়োগ করে শিল্প মালিকরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছিলেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রপ্তানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পণ্য ও সেবা প্রদানকারি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানও আছে। আবার দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোর কারখানা মালিকরাও লে-অফের কৌশল গ্রহণ করছিলেন।

শ্রমিক প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আইনে বলা থাকলেও শিল্প মালিকরা লে-অফ ঘোষণা করছিলেন মূলত শ্রমিকদের বঞ্চিত করার কৌশল হিসেবে। ১৬ ধারা অনুসরণ করে শ্রমিকদের মূল মজুরির ৫০ শতাংশ ও বাড়িভাড়া ও ভাতা পরিশোধ করে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করার সুযোগ আছে। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও শিল্প কারখানার মালিকরা লে-অফের নামে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন।

এ ধারাবাহিকতায় বিপুল পরিমাণ শিল্প কারখানা ইতিমধ্যে লে-অফ ঘোষণা করেছে। যার ফলে করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও শ্রমিকরা পথে নেমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031