সংসদে চীন থেকে ছড়ানো মরনঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে । একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের গাফিলতি না দেখানোর দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ দাবি জানানো হয়। এসময় গত ১লা ফেব্রুয়ারি রাতে চীনের সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে দেড়’শ যাত্রী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে এক যাত্রীর অভিযোগ সংসদে উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে তিনি বলেন, আপনি দেশবাসীকে আশ্বস্থ করেন, যারা বিনা পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে তাদের শরীরে যে করোনা ভাইরাস নেই কে নিশ্চিত করবে? মুজিবুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে চীন সরকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেছে যেন ভাইরাসটা দেশের বাইরে না আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটি এমন একটি ভাইরাস সারা পৃথিবীব্যাপী মানুষ আতঙ্কিত। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং সদস্য দেশগুলোকে এবিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে সাবধান থাকতে বলেছেন।
তারপরেও কি করে বিনা পরীক্ষায় যাত্রী দেশে প্রবেশ করল? এসময় তিনি কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্ট ও এক যাত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরে বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস সনাক্তে গাফিলতি। প্রয়োজনী ডাক্তার না থাকায় রাতে বেশ কিছু যাত্রী পরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, চীন থেকে ইউএসবাংলা, চায়না স্টার ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স প্রতিদিন প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে আসা এক যাত্রী মুশফিকা সারা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন গত ১লা ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৫০ যাত্রী কোন পরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছে। ওই যাত্রী অভিযোগ করেছেন, বিমানবন্দরে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও তাকেসহ বাকি ১৫০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এমনকি যে ফরম দেয়া হয়েছে ওই ফরমে আগে থেকেই ওকে লেখা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, আমাদের শরীরে যে করোনা ভাইরাস নেই কে দেখবে? মুজিবুল হক বলেন, বিমানবন্দরের এই গাফিলতি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরেও অমান্য করে বিমানবন্দরে ডাক্তারের অভাবে চেক করল না। তাদের কারো শরীরে করোনা ভাইরাস থাকলে সারাদেশে মহামারি হয়ে যাবে। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার দাবি জানান।
