স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (কামাল) বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন করেছেন । ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ এ আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সংসদে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়, বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে জোরপূর্বক বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২ জারি করা হয়েছিল। আইনটি করার সময় প্রথমে মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ৬ বারে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়।

এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন এক হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী,অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরো ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে। উল্লে¬খ্য, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন পাসের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে আইনটির মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ বছর আইনটি বহাল রাখতে সংশোধনী বিল পাস করা হয়। গত ৯ই এপ্রিল আইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর সরকার আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা বিল আকারে উত্থাপন করা হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031