দফায়-দফায় প্রস্তুতি সভা করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকালের সভায় বাগেরহাট জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানানো হয়েছে। জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম। জেলার সরকারী কর্মকতা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

নৌবাহীনি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কয়েক হাজার উদ্ধার কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ করা হচ্ছে শুকনা খাবার ও সুপেয় পানি। চলছে মাইকিং প্রচারণা।

এদিকে মোংলা বন্দরে পন্য ওঠা-নামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। বন্দর জেটি ও আউটার এ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৫টি জাহাজসহ সব ধরনের পন্যবাহী লাইটার জাহাজকে বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার দূরুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা করে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ফনী মোকাবেলায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগেরহাটের উপকুলের মাঝে-মাঝে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আকাশে কালো মেঘ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার তালুকদার মোংলা ও রামপাল উপজেলা প্রশাসনের ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে প্রশাসনকে প্রস্তুতি গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুন্দরবনের করমজল ও হারবাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031