ড. রুবানা হক বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৮৭ ভাগ কারখায় শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। বাকি কারখানার শ্রমিকদের ২০ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে বেতন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ।

বৃহস্পতিবার এক অডিও বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যেসব কারখানায় বেতন দেয়া হয়নি তারা মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা। যারা বড় ক্রেতাদের কাজ করেন না।

সংকটে ছোট কারখানার তারল্য সংকটে পড়তে হয় মন্তব্য করে ড. রুবানা হক বলেন, ‘এমন একটা সময় আমরা পার করছি , ক্রেতারা টাকা দিচ্ছেন, আবার দিচ্ছেন না। অনেক বড় সরবরাহকারীকে ছাড় দেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। সেই সাব কন্ট্রাক ফ্যাক্টরিগুলো অথবা প্রচলিত -অপ্রচলিত বাজারে যারা পণ্য রপ্তানি করেন এই ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য সংকটে পড়তে হয় এবং পড়েনও।’

ছোট ফ্যাক্টরিগুলোকে বিজিএমইএ সহায়তা করছে জানিয়েছে রুবানা হক বলেন, এ ফ্যাক্টরিগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা অনকে সময় ব্যয় করেছি। ব্যাংকগুলোর কাছে যাচ্ছি। আমাদের অনুরোধে ব্যাংকগুলো সাড়া দিচ্ছে।

বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত নয় এমন কারখানর বিষয়ে রুবানা হক বলেন, এমন ছোট ছোট কারখানা রয়েছে। যেগুলো আসলে আমাদের সদস্য নয়। কিন্তু সেসব কারখানার শ্রমিকরাও রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। সামগ্রিক বিবেচনায় এটিও আমাদের বিবেচ্য। আমরা মনে করি ছোট-ছোট কারখানা প্রত্যক্ষ বা অপ্রতক্ষ যেভাবেই উৎপাদন করুক না কেন ক্রেতাদের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ ভীষণ দুষ্কর হবে। ছোট কারখানাকেও সমর্থন করার জন্য আমরা কাজ করছি।

বর্তমান লকডাইন পরিস্থিতিতের মধ্যে বেতন দেয়া দুরূহ হয়ে পড়ে মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা সব শ্রমিকের বেতন দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। কিছু কারণে বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে সব ব্যাংকের শাখা খোলা না, পুরো দেশটি এক প্রকার লকডাইন, গণপরিবহন বন্ধ, এত বাধা সত্ত্বেও বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৮৭ শতাংশ কারখানায় বেতন দেয়া হয়েছে। বাকি কারখানার বেতন ২২ এপ্রিলের মধ্য দিতে পারবো বলে আশা রাখি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031