বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । কিন্তু আজও পর্যন্ত কিট-ই গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গড়িমসি করে সময় ক্ষেপন করছে। এমন অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা ছুটি উদযাপন করে, শুক্রবার উদযাপন করে, বৃহস্প্রতিবার বিশ্রাম নেয় কিন্তু কিট নেয় না। তাদের চাপ দিলে বলে লোকজন আসে না। এখন তারা বলছে, রোববার জানাবে, তাও ফাইনাল কথা কিছু বলেনি। এখন দেখা যাক, কি হয়।
আসলে তাদের কোনো গরজ নেই। তারা কচ্ছপের গতিতে চলছে। এখনো আমরা কিট দিতে পারিনি। তারা কিট না নিলে তো দিতে পারি না।
কয়েকদিন
আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে কিটের কার্যকারিতা
যাচাই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তবে কমিটিতে কোন্ কোন্ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
রয়েছেন তা প্রকাশ করবে না কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মানবজমিনকে বলেন, কিট দিলে, কিট
নিবে না কেন? তবে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়া যাবে না। আমি কমিটি করে
দিয়েছি। এসব নিয়ে কিছু প্রক্রিয়া আছে। কমিটি করার পর আমি আর কিছু জানি না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা নিজেরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে, আমাদের কিট যথেষ্ট কার্যকর। তবে চাই- আমাদের কিট ভালো হোক আর খারাপ হোক, বিএসএমএমইউ যেন এক সপ্তাহের মধ্যে তা পরীক্ষা করে দেশবাসীকে জানায়। এমনটাই প্রত্যাশা ছিলো।কারণ দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এখনই ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার সময়। দেরি হলে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে। কিন্তু বিএসএমএমইউ’র কচ্ছপ গতি সুবিধার মনে হচ্ছে না। দেশের এমন একটা সময়ে তাদের দ্রুত এগিয়ে আসা উচিত।
