একের পর এক জঙ্গি আস্তানা শনাক্ত করে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তাদের মূল উত্পাটন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, পালিয়ে যায়নি; পালিয়ে না গিয়ে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ডাকে পুলিশ বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। পুলিশ জনগণের সেবা করে বলেই জনগণকে পাশে নিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জনগণ পুলিশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মাদক হলো আরেক জঙ্গি, এটি তিলে তিলে মানুষকে শেষ করে দেয়। এটাকেও সবাই মিলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গতকাল বিকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে মুখ্য আলোচক ছিলেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে আপসহীন। আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। এ ব্যাপারে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এ দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৮০০ ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৬০০ ডলারে পৌঁছেছে। সরকারের উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের কারণে শিগগিরই তা ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপশক্তি যেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, মাদক, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারলে আমরা উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারব। মাদক থেকে সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া বড়িভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
