বর্তমানে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে নারী। বাংলাদেশে প্রতি ৫ জনের একজন নারী ঘরে,  কর্মক্ষেত্রে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। যাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ নারী তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। দেশে দিনে দিনে এ সংক্রান্ত অপরাধ বেড়েই চলছে। নারীকে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আর্টিকেল ১৯ আয়োজিত ‘তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার বাংলাদেশের নারী’ শীর্ষক এক অলোচনা সভায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, তথ্য প্রুক্তিগত সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে চলমান আইন যথেষ্ট কার্যকর নয়। পর্নোগ্রাফী, ছবির বিকৃতি, সাইবার বুলিং, সাইবার স্টকিং-এর শিকার হচ্ছেন নারীরা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্লাস্ট’র গবেষক সারাবান তহুরা জামান, আইন ও শালিস কেন্দ্রের নারী ও শিশু ইউনিটের সমন্বয়কারী অম্বিকা রায়, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫ জন সাংবাদিক এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। যাদের অধিকাংশ নারী সাংবাদিক।
সভায় প্রণীত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো হলো, তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সহিংসতা বিষয়ে নারীদের সচেতন করা। যাতে করে তারা আইনি আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনি সংস্কার, ডিজিটাল প্রমাণ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ, প্রতিহিংসাপরায়ন পর্নো, সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করা এবং এ সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণ করা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031