ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ঘুর্নিঝড় হাইমা আঘাত হেনেছে । বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আক্রান্ত এলাকার বাড়িঘর, বিদ্যালয় ভবন তছনছ হয়েছে। সমূলে উৎপাটিত হয়েছে বড় বড় গাছ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রাণহানির খবর এখনও মেলেনি। ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে দেশটির উত্তরে কাগায়ান প্রদেশে আঘাত হানে হাইমা। রাতভর হাইমা তান্ডবের পর দিনের আলোতে লুজন দ্বিপে ব্যাপক ধংসযজ্ঞের চিত্র দৃশ্যমান হয়। উত্তরের শহর ইলাগান থেকে ভিলামোর বিসায়া নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এএফপিকে ফোনে জানিয়েছেন, ‘যতদুর চোখ যায় ধান আর ফসলের ক্ষেত সব সমান হয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর ধংস হয়ে গেছে।’ তিনি আরও জানান, একটি স্কুলভবন বড় একটি গাছের নিচে গুড়িয়ে যেতে দেখেন তিনি।
প্রসান্ত মহাসাগরমুখী উপকূলীয় শহরগুলোতে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানে হাইমা। তীব্রো ঝড়ো বাতাসের বেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩১৫ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। রাতে বিরাট পর্বতমালায় আছড়ে পড়ার পর দূর্বল হতে থাকে হাইমা। আজ সকালে তা লুজন দ্বীপের পশ্চিম দিক অতিক্রম করে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হয়।
কাগায়ান প্রদেশের রাজধানী তুগুয়েগারাও এর মেয়র জেফারসন সোনারিও জানান, মানুষজন যেসব স্কুলভবন ও জিমনেশিয়ামে আশ্রয় নিয়েছিল সেগুলোও বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভোরের আগ দিয়ে হাইমা তান্ডব চলাকালে তিনি ডিজেডএমএম রেডিওকে বলেন, ‘সেখানে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিরা সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে কেননা ভবনগুলোর ছাদ ভেঙে গেছে। কিন্তু সমস্যা হলো উদ্ধারকর্মীরা তীব্র ঘুনিঝড়ের মধ্যে বের হতে পারছে না।’
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
