আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন । মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গেছেন। সেখান থেকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী যেন রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে অংশ নেয়।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারে একটি হোটেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের আশা করেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের দ্বারা রোহিঙ্গাদের ত্রাণকাজে সুষ্ঠুতা আসবে এবং তাদের পুনর্বাসন করা সহজ হবে। দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে তিনি আবারো সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম এবং কক্সবাজারের স্থানীয় নেতারা।

ওবায়দুল কাদের কয়েক দিন ধরেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন এবং তাদের পুনর্বাসনের খোঁজখবর নেন। মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উনচিপ্রাং এলাকায় রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রোহিঙ্গাদের দুঃখ-কষ্টের বর্ণনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসুন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াই। তারা কতদিন ধরে অর্ধাহার-অনাহারে রয়েছে। কতদিন ধরে ঘুমায়নি। সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে, এতে তাদের কষ্ট আরও বেড়েছে। তারা যে কত অসহায়। আসুন যেভাবে পারি তাদের সাহায্য করি।’

সম্প্রতি গণহত্যা ও নির্যাতনের ‍মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে জায়গা দিয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বৃষ্টির কারণে তারা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।

শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই এই ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবি উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। মানুষের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনী ত্রাণকাজে জড়িত থাকলে দুর্নীতি হবে না বলে বিশ্বাস সাধারণ মানুষের।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031