ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের একটি সেনা ছাউনিতে আবারও হামলা চালিয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
কাশ্মীর থেকে বিভিন্ন সূত্র উদ্ধৃত করে বিবিসি-র সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ওই হামলায় তিনজন ভারতীয় সেনা মারা গেছেন।
তবে ভারতের সেনাবাহিনী হতাহতের খবরের সত্যতা এখনও স্বীকার করেনি। ওই রাজ্যেই আরেকটি সংঘর্ষে বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইতে তিনজন সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে।
‘আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জম্মুর নাগরোটা এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১১৬ নম্বর ‘মিডিয়াম আর্টিলারি রেজিমেন্টে’র ওপরে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গি দলটি। এখনও সংঘর্ষ চলছে। তাই সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়,’ বলেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মনীষ মেহতার।
নাগরোটাতে সেনাবাহিনীর ১৬ কোরের সদর দফতর। এই কোরটির ওপরেই জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, নিয়ন্ত্রণ রেখা আর উগ্রপন্থীদের মোকাবিলার মূল দায়িত্ব।
হামলা শুরু হওয়ার পরেই কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে জম্মুর যোগাযোগের প্রধান জাতীয় মহাসড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে নাগরোটার সবকটি স্কুলও।
অন্যদিকে জম্মুর সাম্বা সেক্টরে মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় বিএসএফ সদস্যদের।
সীমান্ত রক্ষীবাহিনী দাবি করেছে, তারা তিনজন সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীকে মেরে ফেলতে সমর্থ হয়েছে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত-শাসিত কাশ্মীরের উরির একটি সেনা ছাউনিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিদের একটি দল।
সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন ভারতীয় সৈনিকের। ভারত ওই হামলার দায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কাশ্মীরি উগ্রপন্থীদের ওপরেই চাপিয়ে বলেছিল, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ওই হামলায় সহায়তা করেছে।
পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে তখন থেকেই।
উরির ঘটনার বদলা নিতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের কয়েকটি উগ্রপন্থী ঘাঁটি ও সেনা চৌকি ধ্বংস করে দিয়ে আসে বলে দাবি করেছিল ভারত।
তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
