স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে নিহত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুতে বাহিনীটির বিরাট ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে আজাদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
গত ২৫ মার্চ সিলেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর আজাদকে সিলেট ও ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল হয়ে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ দেশে ফিরিয়ে এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বারোটার পর না ফেরার দেশে চলে যান র্যাবের এই কর্মকর্তা। আজ সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম এবং বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজাদ একজন দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে র্যাবে কাজ করেছেন। তাকে হারিয়ে বাহিনীটির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
সেদিনেও ঘটনাকে দুর্ঘটনা মনে করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেদিন জঙ্গিরা আড়ালে আবডালে কিছু বিস্ফোরক রেখে গিয়েছিল। সেটাতেই একটা অ্যাকসিডেন্ট ঘটেছে।
এ সময় র্যাবের এই চৌকস কর্মকর্তার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। ৩৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ১৯৯৬ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন তিনি। এরপর আজাদ ৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে আইও, অ্যাডজুটেন্ট এবং কোয়ার্টার মাস্টারসহ নানা দায়িত্ব পালন করেন।
২০১১ সালে উপ-পরিচালক হিসাবে সেনাবাহিনী থেকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখায় যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর আজাদ। লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতির পর তিনি গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি তার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) বদলি হয়। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর তার বিজিবিতে যোগ দেয়ার কথা ছিল।
