হাজার হাজার মানুষ সমকামি বিয়ে বৈধতা দেয়ার সরকারি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মেক্সিকো সিটিতে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা বলেছে, সমকামি বিয়ে পারিবারিক রীতিকে খর্ব করবে। তারা পারিবারিক মূল্যবোধ ও বৈবাহিক রীতির মূল্যবোধকে রক্ষা করার পক্ষে। তারা প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওদিকে পাল্টা বিক্ষোভ করেছে সমকামি নারী ও পুরুষরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতো গত মে মাসে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এরপর তথেকে মেক্সিকোতে বিভক্তি তীব্র হয়েছে। দেশটি রোমান ক্যাথলিক। সেখানে সমকামিতা ইস্যুতে জনমত ভীষণভাবে বিভক্ত। মেক্সিকোর কোনো কোনো রাজ্যে সমকামিতা বৈধ। কিন্তু সারা দেশে এটা যাতে বৈধতা পায় এমনটাই চান প্রেসিডেন্ট নিয়েতো। গত বছর শেটির সুপ্রিম কোর্টও সমকামিতার পক্ষে কথা বলেন। মেক্সিকোর অনেক রাজ্যে সমকামিতা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলে, ওই নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক। এরপর সরকার সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নেয়। তার এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। তাদের বক্তব্য, তারা সমকামি অধিকারের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু এ অধিকার পারিবারিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করবেন। এমন বিক্ষোভ করেছে ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর দ্য ফ্যামিলি। এর মুখপাত্রও মারিও আলবার্তো রোমো বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে আপনি একটি একক চিন্তাধারা চাপিয়ে দিতে পারেন না। তাই আমরা সমকামি ইস্যুতে আলোচনা করতে চাই প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতোর সঙ্গে। অন্যদিকে এলজিবিটি সম্প্রদায় প্রেসিডেন্ট নিয়েতোর সমর্থনে বিক্ষোভ করলেও দু’পক্ষের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয় নি। এ সময় সমকামিতার পক্ষের কারো কারো ব্যানারে লেখা ছিলÑ ‘আমি একজন সমকামি। আমি একজন ক্যাথলিক। আমাদেরও পরিবার আছে। এখন পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার চারটি দেশে সমকামি বিয়ে বৈধ। দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
