ববি হাজ্জাজ নতুন দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করলেন । বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সহিংসতা সৃষ্টি করে সারা দেশে যারা অশান্তি করেছে, ঘরে ঘরে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে তারা কীভাবে জাতীয় দল হিসেবে পরিচয় দেয়।

সোমবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এনডিএমের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান করেন এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী মূসা বিন শমশেরের ছেলে। এই অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে হাজারখানেক প্রতিনিধি যোগ দেন।

ববি হাজ্জাজ এক সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছিলেন দলের চেয়ারম্যান ‍হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও পরে তা তুলে নেন তিনি। এর নিজেই আলাদা দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।

এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ববির দেয়া বক্তব্যের একটি বড় অংশ জুড়েই ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা। তিনি বলেন, ‘যেই দল দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়, তারা কোন দিন দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে না। ২০১৪ সালের সেই ইলেকশনের পর সারা বছর নাক ডেকে ঘুমিয়ে। হঠাৎ করে (২০১৫ সালে) রাস্তায় সহিংসতা শুরু করা হলো। তিন মাস ধরে চলে সেই সহিংসতা। রাজপথ, রেলপথ, নৌপথ সব আগুল জ্বালিয়ে ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে একটা দল। আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে কী করে তোমরা জাতীয় রাজনীতির পরিচয় দাও?’।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘যেই দল দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়, সেই দল গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না। সেই দল দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘আলবৎ সেই দলে অনেক ত্যাগী নেতা আছেন, আমরাও জানি আছে। কিন্তু তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। তারা একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। দেশবাসীকে দেবার জন্য তারা আন্দোলন করছেন না।’

সরকারেরও সমালোচনা ববি হাজ্জাজ। তবে এই সমালোচনা ছিল অনেকটাই নরম সুরে। তিনি বলেন, ‘সরকারও কাউকে রাজনীতি করতে দিতে চাইছে না।’

নিজের দল পুরোপুরি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চলবে জানিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগে দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলে গণতন্ত্র না থাকলে দেশকে কী দেব?’। তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি অনেক দেখেছি। সবাইকে সম্মান দিতে হবে। কাউকে ছোট করার রাজনীতিতে এনডিএম বিশ্বাস করে না।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031