ইউএনও’ এর হস্তক্ষেপে একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে মাদারীপুরের শিবচরে । ঘটনাস্থল থেকে বর ও কাজিসহ ১০জনকে আটক করে শিবচর থানা পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দশজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে ভেঙে দেন।
বাল্য বিয়ের শিকার হতে যাওয়া শিশুটি পৌরসভার গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের শিবরায়ের কান্দি গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিন মিয়ার চতুর্থ শ্রেণি পড়–য়া কন্যার সাথে একই উপজেলার বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সিঙ্গাপুর গ্রামের কালাম ফকিরের ছেলে মো. জাকির হোসেন ফকিরের বিয়ে ঠিক হয়।
বৃহস্পতিবার বিয়ে আয়োজনের মুহূর্তে খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিবচর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে বরসহ উভয়পক্ষের ১০জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাজি আবুল হোসেন (৩৮), বর মো. জাকির হোসেন (৩০), আরিফ মাতুব্বর (২৪), দাদন মুন্সী (৪৮), রহিম মিয়া (৩৮), টিটু খলিফা (৫০), গিয়াস খান (৪০), মো. জালাল হোসেন (৩৪), শুক্কুর কাজী (৫৫) ও আবু বকর (৩৬)।
এর মধ্যে বর জাকির হোসেন ও কাজি আবুল হোসেনকে ১মাস করে করাদ- দেয়া হয়েছে। বাকিদের সাতদিন করে জেল দেয়া হয়েছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ জানান, ‘আমি শুরু থেকেই বাল্য বিয়ে বন্ধের ব্যাপারে সচেতন। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ছুটে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। বাল্য বিয়ে মুক্ত শিবচর উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
