হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২১টিতেই নির্বাচনী সিস্টেম বা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছিল । এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার এমনটা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, হ্যাকাররা চেষ্টা করলেও তারা প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। যে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, রাশিয়ার হ্যাকারদের তৎপরতা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষ করে এনেছে তষই এই তথ্য প্রকাশ পেলো। এতে প্রকাশ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা কিভাবে হ্যাকারদের আক্রমণে পড়েছিল। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছে, গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ২০টি রাজ্য হ্যাকারদের টার্গেটে পড়েছিল। বিশ্বাস করা হয় এরা সব রাশিয়ার এজেন্ট। শুক্রবার সরকার এমন তথ্য প্রকাশ করে। এতে প্রথমবারের মতো নতুন করে কিছু রাজ্যের নাম আছে যা সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হলো। যেসব রাজ্যে হ্যাকাররা তাদের তৎপরতা চালিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম আলাবামা, আরিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ইলিনয়, আইওয়া, মেরিল্যান্ড, মিনেসোটা, ওহাইও, ওকলাহোমা, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন। এসব রাজ্যের নাম প্রকাশ করলেও হ্যাকিংয়ের নেপথ্যে বা কারা হ্যাকার ছিল সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয় নি সরকার। কিন্তু তিনটি রাজ্যের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কমকর্তারা বলেছেন, এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে রাশিয়া। উইসকনসিন ইলেকশন কমিশন বলেছে, রাশিয়া সরকারের সাইবার হামলাকারীরা ওই হামলা চালিয়েছিল। কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ২১টি রাজ্যের বেশির ভাগেই হামলা চালানো হয়েছিল স্ক্যানিং কম্পিউটার সিস্টেম পদ্ধিতিতে। তারা টার্গেট করেছিল ভোটার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম। তবে ভোট গণনার সফটওয়্যারকে তারা টার্গেট করতে পারে নি। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ইলিনয় রাজ্য বলেছে, হ্যাকাররা তাদের ভোটার সিস্টেম হ্যাক করতে পেরেছিল। কলোরাডো বলেছে, হ্যাকাররা তাদের সিস্টেম ভাঙতে পারে নি। কলোরাডোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্রেভর টিমোনস বলেছেন, কিভাবে আমাদের কম্পিউটার সিস্টেম ভেঙে দিয়ে তাতে অন্যরা প্রবেশ করবে তা বোধগম্য নয়। এটা আসলে কোনো হামলা ছিল না। এ বিষয়ে আমরা তদন্তও করবো না। ওদিকে রাশিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী টিমের গোপন সমঝোতা নিয়ে তদন্ত চলছে। স্পেশাল কাউন্সেলের তদন্ত চলছে। এমন সময়ে ২১ টি রাজ্যে হ্যাকিংয়ের খবর প্রকাশ পেলো। ওদিকে হ্যাকিংয়ে রাশিয়াকে জড়িয়ে যেসব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে তাকে একটি বানোয়াট কাহিনী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ অভিযোগ তো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
