দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড হয়েছেন নড়াইলের লোহাগড়ায় মাদকের নামে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে। এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন ও এএসআই সুজন ফকির। গতকাল শনিবার রাতে লোহাগড়া থানা থেকে তাদের ক্লোজ করে নড়াইল পুলিশ লাইনে নেয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের আবু সাইদ বাবুলের ছেলে আবু নাইম আকাশকে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্রি করতে এগুলো নাইম কাছে রেখেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়ার জয়পুর পরশমনি শশ্মন এলাকা  থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবু নাইমের মা রেকসোনা পারভীন বলেন, নাইমের সাথে তার এক বন্ধু গল্প করছিলো। এ সময় দুজনকে ওই দুই পুলিশ অফিসার ধরে থানায় নিয়ে যায়।

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে থানা থেকে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। কিন্তু নাইমকে ছেড়ে দিবে বলে চার হাজার টাকা নিয়েও তাকে ছাড়েনি। টাকা দাবি করেছিল আরো বেশি। পরে ফোনে এএসআই সুজন ফকিরের সাথে কথা হয়। সুজন ফকির আমাকে বলেছেন চার হাজার টাকা দেওয়ায় ১০ পিচ ইয়াবার মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে ৫২ পিচ ইয়াবার মামলা হতো। এসব বিষয় আমি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানাই। তারপর ওই দুই পুলিশ অফিসার টাকা ফেরত দিতে আমার বাড়িতেও গিয়েছিলো। আমাকে না পেয়ে ফিরে গেছে।

রেকসোনা পারভীন আরো বলেন, নাইম মাদকের সাথে জড়িত না। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছে। আমরা গরীব মানুষ। আমার একমাত্র সন্তান নাইমের জীবন পুলিশ শেষ করে দিলো।
নাইমের প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন জানান, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত তা কখনো শোনা যায়নি। ওইদিন একইসঙ্গে নাইমসহ দুজনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এএসআই সুজন ফকির ও এএসআই ইসমাঈল হোসেন অভিযোগ সম্পর্কে  কথা বলতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, ওই দুই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031