আগামী শনিবার সরকারকে কিট সরবরাহ করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। করোনা টেস্টের জন্য গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে জটিলতা অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তারা আশা করছেন সরকারের সহযোগিতা থাকলে ৪০০ টাকার মধ্যে গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

জাফরুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে। বুধবার আমাদের ডাক্তার, টেকনিশিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হলেও তাদেরকে রক্তের নমুনা দেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবার যেতে বলেছে।

জাফরুল্লাহ বলেন, এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগীর টেস্ট করতে লাগে তিন হাজার টাকা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে খরচ পড়বে ৩০০ টাকা। অল্প সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা যাবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করছে না। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গণস্বাস্থ্যের প্রতিনিধি বসে থাকলেও তাদেরকে করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা দেওয়া হচ্ছে না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, পরে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করা হলে আজ রক্ত সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়।

গণস্বাস্থ্যের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা চেষ্টা করবো আনুমানিক ৩০০ টাকার মধ্যে করোনার পরীক্ষা করতে। সেক্ষত্রে আনুসাঙ্গিক খরচের বিষয়গুলোতে সরকার সহযোগিতা করলে এটা সম্ভব হবে আশা করি।

জানা গেছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথাসহ করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের পরীক্ষা করবে। ইতিমধ্যে ধানমন্ডিতে তাদের কেন্দ্রে রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথার রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে রোগীদের ব্লাড স্যাম্পল নেওয়া হবে হাসপাতালে তৈরি করা কক্ষে। এতে যে কক্ষে রোগীর রক্তের নমুনা নেওয়া হবে তা আলাদা থাকবে গ্লাস দিয়ে। অপর পাশে বসে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন টেকনিশিয়ানরা। রক্তের নমুনা নেওয়ার পর দুজন দুদিকে চলে যাবে। রোগীর বাইরে অন্য কাউকে ওই কক্ষে যেতে দেওয়া হবে না।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031