মহেশখালী থানা পুলিশ অভিযানে শফিউল আলম (৪২) নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে । সে বড় মহেশখালী ফকিরাকাটা এলাকার মৃত চাঁদ মনু সিকদার এর ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরী ৩টি বন্ধুকসহ ১০টি তাজা কাতুর্জ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএম বার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাজমুল হক কামাল এবং পুলিশের চৌকস অফিসার এস.আই হারুনর রশিদ, এস.আই মনির, এ.এস আই সালাম, এ এস আই আজিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। ১১ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার সময় ফকিরাকাটাস্থ অস্ত্রব্যবসায়ীর আস্তনায় অভিযান চালিয়ে শফিউল আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে ছুটতে পালিয়ে যায়। আতœ রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা জব্বাবে গুলি ছুটে। ওই সময় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও শফিউল আলম পুলিশের জালে আটকা পড়ে।
শফিউল আলম এর বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর-৩১৩/১৫, জি আর-৩৪৮/১৩, জি আর-৫০/১০ মামলা রয়েছে।
ওই অভিযানে বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাঘোনা এলাকার মো:ইউনুছ এর ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৫) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ১১৭/১১, জি আর- ১৪৭/৫, জি আর ১১/৫ মামলা রয়েছে।
দাগী আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযানে বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাকাট এলাকার সোনালীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ৮৭/৭, জি আর-২৫০/১১ মামলা রয়েছে।
একই ইউনিয়নের ফকিরাকাটা এলাকার মৃত সোনামিয়ার ছেলে জসিম উদ্দীন কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ১৭৭/১৩, জি আর ১১/৫ মামল রয়েছে মহেশখালী থানায়।
উক্ত দাগী আসামীদের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএম বার জানান- উপজেলার বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাকাটা এলাকায় অস্ত্র ব্যবসায়িরা অস্ত্র বিকিনিকিতে ব্যস্ত অবস্থায় ও আস্তানায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদ পাইয়া উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ি সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলি ছুটে ছুটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ওই সময় শফিউল আলম নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তার বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে জানান। এছাড়া ও অন্যান্য মামলার দাগী ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তদন্ত অফিসার নাজমুল হক কামাল তার বক্তব্যে জানান, মহেশখালীতে হয়তো পুলিশ থাকবে, না হয় সন্ত্রাসী থাকবে। পুলিশ সন্ত্রাসী মহেশখালীর মাটিতে এক সাথে থাকতে পারে না।
– See more at: http://www.teknafnews.com/%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4/#sthash.5M2OX0Y3.dpuf
