পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দেশের মধ্যে ৪০ লাখ মানুষকে উদ্বাস্তু করে দেয়া হয়েছে আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায় ৪০ লাখ বাঙালির নাম বাদ পড়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে । মমতা অভিযোগ করেছেন, ভোটের অঙ্ক কষেই অসমে বাঙালি খেদানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, নাম ও পদবি দেখে বেছে বেছে বাদ দেয়া হয়েছে। ডিভাইড অ্যান্ড রুল চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরোটাই নির্বাচনী গেমপ্ল্যান। ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে।
এদিন দিল্লি রওনা হওয়ার আগে নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা বলেছেন, অসমে বাঙালিরা আক্রান্ত হলে বাংলার ওপর চাপ পড়বে। তাই এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের আগে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। অবিলম্বে এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি, আসামে দলীয় সাংসদদের পাঠানোর কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দরকারে তিনি নিজেও আসাম যেতে পারেন, বলেছেন মমতা। যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে আসাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হতে পারে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই অশান্তির আশঙ্কায় বাঙালি অধ্যুষিত বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ৩৩ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়ার ঘটনা নিয়ে এদিন সংসদের উভয় কক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। তুমুল হট্টগোল হয়। রাজনাথ সিংয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তবে এখনই আশঙ্কিত হওয়ার কোনো দরকার নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের কেউ-ই সমস্যায় পড়বেন না। কাউকেই জোর করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে না। আসামবাসী বিদেশিদের চিহ্নিত করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ শুরু হয়েছিল।
