উচ্চ আদালত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২৭ আগস্টের পর যদি ঢাকার রাস্তায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজালে গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। রাজধানীতে যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন দুই দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে এ কথা জানায় হাইকোর্ট।
হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত এসব হর্ন আমদানি বন্ধ ও বাজারে থাকা হর্ন জব্দের আদেশও দেয়।
রাজধানীতে শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ গাড়ির হর্ন। ১০ বছর আগে বিভিন্ন সড়কে হর্ন নিষিদ্ধ করা হলেও তার প্রয়োজ নেই বললেই চলে। চালকদের অসচেতনতায় পরিস্থিতি দিনকে দিন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
আর সাধারণ হর্নের তুলনায় হাইড্রোলিক হর্নের আওয়াজ অনেক জোরাল। এই হর্ন গাড়িতে লাগানো পুরোপুরি নিষেধ। কিন্তু বাজারে অবাধে বিক্রি হয় এসব হর্ন এবং বিভিন্ন যানবাহনে চালক বা মালিকারা এসব হর্ন ব্যবহার করে থাকে।
বিশেষ করে দূরপাল্লার যানবাহনে হাইড্রোলিং হর্নের বহুল ব্যবহার আছে। এমনও দেখা গেছে, চালকরা শহরের ভেতর সাধারণ হর্ন ব্যবহার করেন, কিন্তু শহরের বাইরে গেলেই বিকট শব্দের হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করেন।
হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধ করতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে মনজিল মোরসেদ উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। তিনি আবেদনে বলেন, মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী যানবাহনে শব্দ দূষণকারী হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও তা মানা হচ্ছে না। আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ নিজেই।
আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ বিভাগকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
একইসঙ্গে রুলও দিয়েছে আদালত। সারাদেশে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হবেনা এবং এ বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপিসহ ২০ জনকে এই রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
