রায়ান কাজি বিস্ময় বালক। মাত্র ৯ বছর বয়সের সে বিশ্বের সেরা ইউটিউবার। এরই মধ্যে নেট ৫ কোটি ডলারের মালিক হয়ে গেছে সে। ২০২০ সালেও তৃতীয় বছরের মতো ইউটিউব থেকে টানা সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী নির্বাচিত হয়েছে। তাকে এমন শীর্ষ স্থান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোরবস। কিভাবে সম্ভব হলো মাত্র ৯ বছর বয়সী একটি বালকের এত্ত বিশাল অর্থের মালিক হয়ে যাওয়া!
আরো কম বয়সে তার সফলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে। ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’। এখানে সে প্রথমে ভিডিও কন্টেন্ট আনবক্সিং করে তা আপলোড করা শুরু করে।

এটা ২০১৫ সালের কথা। তখন তার বয়স মাত্র ৩ বছর। প্রথমে তার চ্যানেলের নাম ছিল রায়ান টয়েজ রিভিউ। পরে সেই নাম পাল্টে নাম রাখে রায়ানস ওয়ার্ল্ড। এরপর থেকে সে তার চ্যানেলকে বিস্তৃত করতে থাকে। তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে থাকে শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্ট, পারিবারিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিডিও, যেমন ‘ডিআইওয়াই’ বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা। এ ছাড়া এতে যোগ করতে থাকে তার যমজ বোনদের খেলার ভিডিও।

রায়ান কাজির পিতা শিওন। রায়ানস ওয়ার্ল্ডের এত জনপ্রিয়তার কারণ রায়ান ও তার পিতার মধ্যকার বন্ধন। চ্যানেলের নেপথ্যে তার পিতা তাকে সময় দিয়েছেন। জানুয়ারিতে রায়ানের এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি ৭৯ লাখ। এখানে উল্লেখ্য, ইউটিউবের মালিকের একাউন্টে টাকা জমা হয় এর ভিউ এবং কি পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার আছে তার ওপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে রায়ান কাজির কন্টেট দেখেন সব বয়সী মানুষ। তার এই চ্যানেল ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে ভিউ হয়েছে ১২২০ কোটি বার। বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, এর ফলে সে আয় করেছে ২ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। ফোরবস বলেছে, তাকে ইউটিউব থেকে সর্বোচ্চ অর্থ আয়কারীদের শীর্ষে রাখতে এই অর্থ যথেষ্ট।
রায়ান কাজির বয়স ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে সে। তবে তার এই সফলতার নেপথ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কঠোর পরিশ্রম। তার চ্যানেল থেকে প্রতিদিন একটি করে ভিডিও আপলোড দেয়া হয়। এ জন্য তার পরিবার ৩০ জনের একটি টিম গঠন করেছে। এই টিমের নাম দেয়া হয়েছে সানলাইট এন্টারটেইনমেন্ট। এটার ব্যবস্থাপনা করে তার পরিবার। এই টিম ভিডিও তৈরি এবং তা আপলোডে সহায়তা করে। রায়ানস ওয়ার্ল্ড এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এই চ্যানেলে আছে প্রায় ৫০০০ ভিডিও। সেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটি ডলার রাজস্ব বা রয়েলটি আসে। এছাড়া রায়ান কাজির রয়েছে নিকেলোডিওন, হুলু এবং রোকু’র সঙ্গে রয়েছে চুক্তি। সব মিলিয়ে তার পরিবার কমপক্ষে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে। আর তারা যে মিডিয়া সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছে, তার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রায়ান কাজি আয় করেছে এক কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে রাজস্ব হিসেবে আয় করেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031