৭ বছর শারীরিক কোনো সম্পর্ক ছিল না প্রিন্স চার্লসের প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে । শুরুর দিনগুলো আনন্দঘন হলেও কয়েক বছর যেতেই তাদের মধ্যকার যৌন সম্পর্ক আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যেতে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্বাভাবিক যে সম্পর্ক থাকে তা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লস। সাক্ষাতকারে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ডায়ানার কণ্ঠ বিষয়ক কোচ পিটার সেটেলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয় সেটেলেন বলেছেন, রাজপরিবারের এই দম্পতি প্রথম দিকে একে অন্যকে ছাড়া থাকতে পারতেন না। কিন্তু চমৎকার সূচনার পর তাদের মধ্যকার শারীরিক সম্পর্কের কারণে বিবাহিত জীবন টালমাটাল হয়ে ওঠে। একটি পোলো ম্যাচে ভবিষ্যতের রাজবধু ডায়ানাকে প্রথম চুমু খেয়েছিলেন প্রিন্স চার্লস। তারপর প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস তার দিক থেকে আর হাত সরিয়ে নেন নি। তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক চুম্বকীয় আবেশ। প্রিন্সে ডায়ানা ও তার কণ্ঠ বিষয়ক কোচ সেটেলেনের মধ্যকার কথোপকথনের টেপ নিয়ে নতুন প্রোগ্রাম চালু করবে লন্ডনের চ্যানেল ফোর। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ডায়ানা: ইন হার ওন ওয়ার্ডস’। তাতে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার যৌন সম্পর্কের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রিন্সেস ডায়ানা। তখন তার সঙ্গে ওই গাড়িতে ছিলেন সৌদি আরবের ধনকুবের দোদি আল ফায়েদ। বলা হয়, তার সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন ডায়ানা। তারা রিজ হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে বের হয়ে ওই দুর্ঘটনায় পড়েন। ওই সময় সারা বিশ্বে ডায়ানা, প্রিন্স চার্লস, দোদি আল ফায়েদ, ক্যামিলার (চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী) সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়। ক্যামিলার সঙ্গে চার্লসের প্রেম, ডায়ানার প্রতি তার অবহেলা, রাজপরিবার, দোদি আল ফায়েদ আর ডায়ানার প্রেমÑ এসব নিয়ে বৃটেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর পাতা ছিল ঠাসা। নতুন নতুন ছবি। নতুন নতুন কাহিনী। পাঠক তখন আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করতেন পরের দিন কি নতুন কাহিনী আসছে। ওই সময়ে নিজের স্বামী চার্লসের সঙ্গে একান্ত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন ডায়ানা। কিভাবে সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল তাও সেসব কথায় উঠে এসেছে। এ সময় ডায়ানা বলেছিলেন, তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হতো প্রতি তিন সপ্তাহে একবার। আর ১৯৮০র দশকের শেষের দিকে সেই সম্পর্ক একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল সময় পর্যন্ত কণ্ঠ বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে পিটার সেটেলেনকে নিয়োগ করেন প্রিন্সেস ডায়ানা। কণ্ঠশীলনের পাশাপাশি তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় তার ভিতরে যে উদ্বেগ, ব্যক্তিগত জীবনে যে অস্থিরতা তাই। ‘ডায়ানা: ইন হার ওন ওয়ার্ডস’-এ যেসব মূল পয়েন্টে হিট করা হয়েছে তা হলো- যখন ক্যামিলার সঙ্গে চার্লসের সম্পর্ক নিয়ে তার সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড়ালেন ডায়ানা, তখন চার্লস জবাবে বলেছিলেন, আমি এমন একজন প্রিন্স অব ওয়েলস হতে চাই না, যার কখনো একজন মিস্ট্রেস থাকবে না। দাম্পত্যের এসব বিষয় নিয়ে রানীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ডায়ানা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031