বাংলাদেশ থেকে কন্যাশিশু কিনতো পতিতাবৃত্তির জন্য মানবপাচারকারী একটি আন্তঃদেশীয় চক্রের মূলহোতা সুজয় বিশ্বাস । প্রায়ই ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতো সুজয়। এখান থেকে কন্যাশিশু কিনে বিশাল এক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে তাদের পাঠাতো সে। এ খবর দিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকা। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুর থেকে সম্প্রতি তাকে আটক করেছে ভারতের যোধপুর পুলিশ। লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি কসমেটিক দোকান আছে তার। এ দোকান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে কয়েক মিটার দূরে অবস্থিত।
মদন বেনিওয়াল নামে এক স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যোধপুর আদালতে তাকে হাজির করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন সময় পেয়েছি। আমরা আশাবাদী তার কাছ থেকে এ বাণিজ্য ও দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরো নেটওয়ার্ক স¤পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো।’
খবরে বলা হয়, নিয়মিতই সুজয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ আসতো। সে নিজেই জানিয়েছে, এসব পতিতাবৃত্তি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। তদন্তে উঠে এসেছে, গত তিন বছরে বিভিন্ন কমিশনের নামে প্রায় ১ কোটি রুপি এসেছে সুজয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পুলিশ কর্মকর্তা বেনিওয়াল বলেন, ‘এ ব্যবসায় সে কতদিন ধরে জড়িয়ে আছে, কত মেয়েকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনেছে, তাদেরকে কোথায় পাঠানো হয়েছে, এ ব্যাপারে আমরা তথ্য জানতে চাই।’
যোধপুরে তার সহায়তাকারী ছিল টু¤পা নামে এক মেয়ে। তাকেও পুলিশ আটক করেছে। সেও প্রায়ই বাংলাদেশে যেত। গত বছর টু¤পা একাই কয়েক ডজন মেয়েকে ভারতে পাচার করেছে। তার বাড়ী বাংলাদেশ, কিন্তু নথিপত্রে ভারতীয়। যোধপুর থেকে টু¤পা সুজয়ের অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ রুপি পাঠিয়েছে কমিশন হিসেবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ছয় মাসের জন্য মেয়েদের ভারতে নিতো সে। এরপর বাংলাদেশে তাদের ফিরিয়ে এনে নতুন মেয়ে নিয়ে চলে যেত।
পুরো প্রক্রিয়ায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, বিএসএফ’র জ্ঞাতসারেই পুরো চক্রটি কাজ করছিল। সুজয় ও টু¤পা কোন ধরণের বাধাবিঘœ ছাড়াই সীমান্তের এপার-ওপার যাতায়াত করতো এবং খুব ঘন ঘন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031