ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন অত্যাধুনিক ড্রোনহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার জব্দ হয়েছে। ডিজেআই প্যানথম ৪ মডেলের ড্রোনটিতে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর পাওয়া গেছে। ভিডিও শুটিংয়ের পাশাপাশি স্পায়িংয়ের কাজে ব্যবহারের এই আমদানি নিষিদ্ধ ড্রোনটির কোনো অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার এ৯০৫১৫ নম্বর ফ্লাইটে তা ঢাকায় আসে। এরপর শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ওই বিমানের যাত্রী মো. জাহিদুল ইসলামের প্রতি নজরদারি রাখেন। কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে যাবার সময় তাকে থামানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সঙ্গে ড্রোন থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা লাগেজে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে ড্রোনের যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধার করা হয়। মূলত ড্রোনটির বিভিন্ন অংশ খুলে প্যাকেট করে বহন করা হচ্ছিল। পরে যন্ত্রাংশ যুক্ত করে তৈরি করা হবে পূর্ণাঙ্গ ড্রোন। আটকের এক পর্যায়ে তিনি জানান যে, দুবাই থেকে তার এক বন্ধু ঢাকায় অন্য এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এসব গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি দিয়েছেন এবং তিনি নিজে এগুলোর মালিক নন। ড্রোনটিতে উন্নতমানের ক্যামেরা বসানোর অপশন ও সেন্সর রয়েছে। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তা পরিচালনা করা যায়। কাস্টম ও শুল্ক গোয়েন্দার নিজস্ব পেজবুক পেজে তা এসব তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, ড্রোন বহনকারী যাত্রী প্রথমে নিজেকে জাহিদ বলে পরিচয় দিলেও তার পাসপোর্টে মিলেছে ভিন্ন পরিচয়। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএ০২৩০০৮৪। পাসপোর্ট অনুযায়ী তার নাম নজরুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামে। কাস্টমস হলের বেল্ট হতে তার ব্যক্তিগত লাগেজ সংগ্রহের পর কোনরূপ ঘোষণা না দিয়েই তিনি ড্রোন ভর্তি লাগেজটি সংগ্রহ করে সরে পড়ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এর আগ থেকে ওই যাত্রীকে নজরদারির একপর্যায়ে আটকানো হয়। এই ড্রোনটি সমপ্রতি আটক অন্যান্য ড্রোন থেকে উন্নতমানের। গত ২৭শে জুলাই শুল্ক গোয়েন্দা শাহজালালের ফ্রেইট ইউনিটে আরেকটি ড্রোন আটক হয়েছিল। খেলনার ঘোষণা দিয়ে তা আমদানি করা হয়েছিল। যা পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ড্রোনটির ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিয়ে তা কাস্টমস হাউজে জমা দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ড্রোন নানা ধরনের নাশকতার কাজে ব্যবহার হতে পারে এমন আশঙ্কায় সমপ্রতি বাংলাদেশে এর উপর আমদানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া ড্রোন আমদানি ও এর উড্ডয়নের প্রাক্কালে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
