শুক্রবার পাকিস্তানের সেনা প্রধান বলেছেন, যে কোনো মূল্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষা করবে।এ জন্য পাক সেনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উত্তেজনা চলছিল আগে থেকেই। বিশেষ করে কাশ্মিরের উরিতে জঙ্গি হানায় ১৮ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর পরিস্থিতি প্রতিদিনিই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ভারতের তরফ থেকে সামরিক হামলা হলে কীভাবে তার জবাব দেয়া হবে সেই ছক পাকা করে ফেলেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোতে ভারতের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় নওয়াজ সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাকিস্তানের সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের তরফ থেকে হামলা হলে পাল্টা জবাব দেয়ার ছক পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তান আগামীকাল(শনিবার) থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করতে যাচ্ছে। সামরিক মহড়া থামানোর জন্য নানা আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাতে কাজে আসেনি। ভারত বিষয়টিতে সহজভাবে নেয়নি বলে জানা গেছে। আজ রুশ সেনাদের নিয়ে পরিবহন বিমানগুলো পাকিস্তানের মাটি সর্ম্প করে। পাকিস্তানের জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, আঘাত আসলে ভারতের কোথায় কোথায় হামলা করে তার জবাব দেয়া হবে সেই টার্গেট ঠিক করে করা হয়েছে। পাক সেনাদের বরাত দিয়ে ঐসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে পক্ষ থেকে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে পাকিস্তান তার উপযুক্ত জবাব দেবে। আঘাত আসলেই প্রত্যাঘাত। উরির হামলার উপযুক্ত এবং কড়া জবাব দেয়ার জন্য দফায় দফায় বৈঠক করে চলছে ভারতের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
চির বৈরি পরমানু শক্তিধর দুই দেশই সীমান্তে হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। পাকিস্তান তার দিকে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ করে মহড়া দিচ্ছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক হামিদ মীর ইসলামাবাদের আকাশে যুদ্ধ বিমানের উপস্থিতি নিয়ে টুইটও করেছেন।
পাকিস্তান টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন আকাশ বা স্থল সীমা কোনটিই লঙ্ঘন করা হলে তা সহ্য করা হবে না।
পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শুরুটা ঠান্ডা বা শীতল, যেভাবেই হোক না কেন। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের স্বক্ষমতা সম্পর্কে ভারত ভালভাবেই অবগত। সীমান্ত হয়ে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ভালভাবে সেনা ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। ভারত হামলা করলেই তৎক্ষণাৎ আগের ঠিক করা লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
এদিকে হঠাৎ করে মহাসড়ক বন্ধ করে মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমানগুলো। বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এ মহড়া চালাতে দেখা গিয়েছে।