শুল্প গোয়েন্দা সংস্থা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টয়লেটের ময়লার ঝুড়ি থেকে তিন কেটি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে । ভোরে এরাইভাল ইমিগ্রেশনের একটি টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই মূল্যবান ধাতুগুলো পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মঈনুল খান জানান,ময়লার ঝুড়িতে টেপ মোড়ানো ১০টি সোনার বিস্কুট পান তারা। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ইমিগ্রেশনের টয়লেটে ময়লার ঝুড়িতে ওই সোনা পাওয়া যায়।’
নির্ধারিত পরিমাণ শুল্ক দিয়ে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ থাকলেও বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির পরিমাণ খুবই কম অথবা একেবারেই নেই।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রায়ই চোরাই সোনার চালান ধরা পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব স্বর্ণ উদ্ধার হয় পরিত্যক্ত অবস্থায়। আর মালিক পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধার করা স্বর্ণের জায়গা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। আর স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির উদাহরণ বিরল।
কেবল বাংলাদেশে এসব স্বর্ণ আনা হয় তা নয়, এই দেশকে পাচারের রুট হিসেবেও পাচারকারীরা ব্যবহার করছে বলে ধারণা করছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
সকালে শাহজালালে স্বর্ণের যে চালানটি আটক হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি ‘বিস্কুট’ এর ওজন আধা কেজি করে। আর আর বাকি পাঁচটি ১০০ গ্রাম ওজনের।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, ভোরে কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ বিমান, দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট এবং কুয়েত থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অবতরণ করে। এর যে কোনা একটি দিয়ে কোনো যাত্রী এই স্বর্ণগুলো এনেছে বলে ধারণা তাদের। তল্লাশি করতে দেখে টয়লেটে স্বর্ণ ফেলে যাওয়ার ধারণাও করছেন তারা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্তের চেষ্টার কথা জানান গোয়েন্দারা।
