বিয়েতে যোগ দিতে এসে এখন শ্রীঘরে চাঞ্চল্যকর অন্তর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী জেসমিন ও সঞ্চয় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেসমিনের ঘর থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল সিমের সূত্র ধরে তার ভাই মোবিনের বিয়ের নাটক সাজায় পুলিশ।গতকাল শনিবার ছিলো সে বিয়ের দিনক্ষণ। সে বিয়ে নামক পুলিশি ফাঁদে যোগ দিতে ভারতের আগরতলা থেকে সঞ্জয়, শিশু নিপাসহ ছুটে আসে জেসমিন। এরপর আদালতে হাজির করা হলে তাদের শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় নগরীর পাহাড়তলী থানার সহযোগিতায় অলঙ্কার মোড় থেকে জেসমিন আকতার খুকুমনি (৩১) ও সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এসআই) রবিউল হোসেন। এসময় তার সাথে নিপা আকতার নামে এক শিশু ছিল।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে জেসমিন ও সঞ্জয় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। ৮ অক্টোবর শনিবার তারা দেশে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালখালী থানায় নিয়ে আসে। ৯ অক্টোবর রবিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে জেল হাজতে নেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। জেসমিনের সাথে থাকা তার দশ বছরের মেয়ে নিপা আকতারকে নিকট আত্মীয়র জিম্মায় দেয় আদালত ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর নগরীর লিটল জুয়েলস ফ্লাওয়ার স্কুলের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অন্তর দাশ (৭)কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর অন্তরের পিতার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ব্যাপারে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর অন্তরের মা লাকী দাশ বাদী হয়ে ৭জনকে আসামী করে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর কানুনগোপাড়া বিদগ্রাম জেসমিনের বাপের বাড়ীর পেছনের একটি পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় অন্তরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরআগে জেসমিনের ভাই মোবিন আদালতে ঘটনার দায় স্বীকারে ১৬৪ জবানবন্দি প্রদান করেছিল। জবানবন্দিতে জেসমিন ও সঞ্জয়ের নাম বলেছিল মোবিন।
অন্তর পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকার কাঞ্চন দাশের বড়ছেলে। কাঞ্চন দাশ পরিবার নিয়ে নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড় মাছুয়া ঝর্ণা এলাকার ভাড়াবাসায় বসবাস করতেন।
আসামীদের গ্রেপ্তারে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া সহযোগিতায় নেতৃত্ব দেন বোয়ালখালী থানার এএসআই রবিউল হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত জেসমিন বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া বিদগ্রামের নুরুল ইসলাম প্রকাশ ওহাব মিয়ার মেয়ে।
