পরিশ্রমের সর্বোচ্চ পুরস্কার দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এটি তার বিগত দিনের। এজন্য তিনি দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। দলের ভেতরে আরও গুণগত পরিবর্তন আনা এবং দলকে সামনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করে তোলাই নয়া নেতৃত্বের মূল কাজ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, একই সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে কোন সমস্যা হবে না। বরং দুটি কাজ এক সঙ্গে করলে আরও ভাল ফল আসবে। তিনি বলেন, এতোদিন আমি সড়কে হেঁটেছি সড়কের কাজ করতে। এখন একই সঙ্গে সড়কের কাজ এবং দলের কাজ করতে পারবো। সড়কে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার নাম প্রস্তাব করাকেই সম্মেলনের, দলীয় সভানেত্রীর চমক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কাউন্সিলের আগে মিডিয়ায় নানাভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। সমালোচনা সহ্য করা উচিত। যে সইতে পারে সে শুদ্ধ হয়। সমালোচনা নেতাদের শুদ্ধ করে। এত বড় সম্মেলন হয়ে গেল, এত প্রচারণা। কেউ শুনেছেন কোথাও কারও নামে স্লোগান দেয়া হয়েছে। বিলবোর্ডে কারও পক্ষে কোথাও প্রচারণা দেখেছেন? আওয়ামী লীগ গুণগতভাবে এগিয়ে গেছে। আচরণগতভাবে আওয়ামী লীগ আরও এগিয়ে যাবে। জনগণের কাছে দলকে আরও গ্রহণযোগ্য করার পথে এগিয়ে গেছি আমরা। আরও গুণগত পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এজেন্ডা দুটো। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আর ডাইনামিক লিডারশিপের ও শক্তিশালী টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দলকে নির্বাচনের জন্য গড়ে তোলা। নির্বাচনের সমুদয় প্রস্তুতির সূচনা হবে। বেশি এজেন্ডা নেব না। এ দুটোই সর্বাত্মক বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি নিজেকে মন্ত্রী ভাবি না। দলের কর্মী ভাবি, শেখ হাসিনার কর্মী ভাবি। আমি রাস্তায় কাজ করতাম। পার্টির লোকেরা অনেক সমস্যার কথা বলতো। ছোটখাট সমস্যা রাস্তায় সমাধান করা যায়। এখন থেকে একদিকে রাস্তা দেখব, অন্যদিকে স্পটেই পার্টির লোকদের কথা শুনে সমস্যার সমাধান করব। এটা আমার জন্য বাড়তি লাভ।
তিনি বলেন, আমি আমার পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছি। আমি আমার জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছি, সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাঙালীর সূর্য্যকন্যা শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক জীবনের শ্রেষ্ঠ সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। এ দায়িত্ব দিতে গিয়ে তিনি যে আস্থা আমার ওপর রেখেছেন। আমি আমার মেধা, ঘাম ও শ্রম, সব শক্তি সামর্থ্য দিয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে আমি কোনো অঞ্চলের নই। আমি সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, তেঁতুলিয়া থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের সুবিশাল দায়িত্ব পেয়েছি। এখানে ব্যক্তির ঊর্ধ্বে পার্টি, পার্টির ঊর্ধ্বে দেশ।  আমি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। তিনি বলেন, আমি নিজেকে মন্ত্রী ভাবি না। জনগণের সেবক ভাবি। সেভাবেই সামনে কাজ করে যেতে চাই।
বিএনপি’র অভিনন্দনের জবাবে দলটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আরও গভীরভাবে তাদের শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম যদি তারা সম্মেলনে অংশ নিতেন। কারণ আমাদের নেতারা দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলেন। তারা কথা দিয়েছিলেন। কথা রাখেননি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031