খবরে এসেছে ফ্রান্সের ক্যালেতে ‘জঙ্গল’ শরণার্থী শিবির উচ্ছেদের পর প্রায় একশ শিশু নিরাশ্রয় হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে বলে । এসব শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছিল বৃটেন। বৃটেনের এই নিন্দার সমালোচনা করেছে ফ্রান্স। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড ক্যাজেনিয়েভ বলেছেন, নিরাশ্রয় তরুণদের প্রতি বৃটেনের কী কর্তব্য রয়েছে সেটাই তাদের স্মরণ করা উচিত। এই জবাবকেও ভালেভাবে গ্রহণ করেনি বৃটেন। এ নিয়ে বাদানুবাদ চলছে দুই দেশের মধ্যে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে ফ্রান্সের ক্যালের ওই শরণার্থী শিবির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শিবিরে থাকা কয়েক হাজার শরণার্থীকে সরিয়ে নেয়া হয় ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে। শিবিরটি ধ্বংস করে দেয়া হয়। শিবির উচ্ছেদের পর সেখানে প্রায় একশ অভিবাবকহীন শিশু-কিশোর নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে বলে খবর আসে। তার সমালোচনা করেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড। এর জবাবে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাজেনিয়েভ ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি রুডের বক্তব্যের জের ধরে বলেন, বৃটেনের উচিত এটা মনে রাখা যে নিরাশ্রয় তরুণদের নিয়ে তাদের কী করা উচিত। বৃটিশ টেলিভিশন গ্রুপ আইটিএন এক ওয়েবসাইট রিপোর্টে জানিয়েছে, রুড আবার কথা বলেছেন ক্যাজেনিয়েভের সঙ্গে। রুড তাকে বলেছেন ‘ক্যালেতে আটকে পড়া শিশুদের যথাযথভাবে সুরক্ষা’ দেয়ায় নজর দিতে। ফরাসি সরকার বলেছে, ক্যাজেনিয়েভ ও তার অভিবাসনমন্ত্রী ইমানুয়েল কসে ‘বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুডের বক্তব্য। ফরাসি মন্ত্রিরা আশা করেন, যুক্তরাজ্য এসব অল্পবয়সীদের গ্রহণ করার বিষয়ে নিজেদের দায়িত্ব দ্রুত পালন করবে। এটাই তাদের প্রাপ্য সুরক্ষা দেয়ার সর্বোত্তম উপায়।’ ক্যালের শরণার্থী শিবির উচ্ছেদের পর ফ্রান্স ১৪শ’রও বেশি শিশু-কিশোরদের পুনর্বাসন করে। এর মধ্য থেকে ২৭৪ জনকে বৃটেনের গ্রহণ করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। ফ্রান্সের ওই শরণার্থী শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই বৃটেনে পাড়ি জমানোর ইচ্ছা পোষণ করতেন। সে কারণে এই শিবির উচ্ছেদের সময় অনেকেই পুনর্বাসিত হতে চাননি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031