বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় শনিবার রাত ৮ টায় নোয়াখালী জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির এক বিশেষ জরুরি সভা নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌসের সভাপতিত্বে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সকল সদস্য ও কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে রবিবার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাসমূহে আঘাত হানতে পারে।
সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতিমূলক সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় উপজেলা সদর, সুবর্নচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা শনিবার বিকেলে স্ব স্ব উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে সভায় জানানো হয়।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও নিঝুমদ্বীপে বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতসহ পতাকা উত্তোলন, মাইকিং করে লোকজনকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা মূলক প্রচার করা হয়। সদর, হাতিয়া, সুবর্নচর ও কোম্পানীগঞ্জে ৩৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩০টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। ইতোমধ্যে নোয়াখালী জেলা কোর্ট বিল্ডিং এ সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম এবং হাতিয়া, সুবর্নচর ও কোম্পানীগঞ্জে ৩টি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
শনিবার সকাল থেকে সারাদিনই নোয়াখালী জেলায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন উপকূলীয় উপজেলাগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানীয় জল, সকল প্রকার যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেঘনা নদীর প্রবল জোয়ারে নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়ার বেড়ি বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
