মুম্বাই পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দল মার্চেন্টকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে শুক্রবার ভারতের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দেশটির মেঘালয় রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দাউদকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তারা মুম্বাই পুলিশকে খবর দেয়।

অবৈধভাবে তিনি দেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তাকে মুম্বাই হাইকোর্টে হাজির করি। গুলশান কুমার হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি মার্চেন্ট এবং ২০০৯ সালে প্যারোলে জামিন পেয়ে তিনি পালিয়ে যান।’

ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, মার্চেন্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের লোকজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা এবং এদের মধ্যে মার্চেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল। ২০০২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। আওরঙ্গবাদ কারাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে তাঁকে প্যারোলে ১৪ দিনের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং প্রতিদিন পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

গত ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা থেকে দাউদ মার্চেন্টকে অব্যাহতি দেন বাংলাদেশের আদালত। এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষে উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রসুল অব্যাহতির আবেদন করেন। সেই আবেদনটি বিচারক মঞ্জুর করলে দাউদ মার্চেন্ট অব্যাহতি পান।

মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031