ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনর, চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা জালাল উদ্দীন আলকাদেরি আর নেই (ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন)। আজ বিকাল 4:00 ঘটিকায় জামিয়াতুল ফালা মসজিদ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে অংশ নেন হাজারো মুসল্লি।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে ৬৭ বছর বয়সে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
জালাল উদ্দীনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহারা গ্রামে। মৃত্যুকালে দুই ছেলে পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
মরহুমের মেয়ের জামাতা শফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত আলা হজরত কনফারেন্সে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান চলাকালে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মঞ্চে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দ্রুত বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা ২০ মিনিটে আইসিউতে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, রোববার বাদ আসর ঢাকা জাতীয় ইদগাহ ময়দানে প্রথম জানাজা, সোমবার বাদ জোহর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ আসর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজল, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুমানে রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমন্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক এমএ মতিন, সদস্যসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারসহ অনেকে জালাল উদ্দীনের মৃত্যুতে শোক জানান।
এদিকে, এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আল্লামা জালাল উদ্দিন আলকাদেরির ইন্তেকালে গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি মরহুমের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ ভক্ত-আশেকানদের প্রতি সমবেদনা জানান।


