বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তাড়িয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীর নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর বাবা ইলিয়াস হোসেন কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তফা আলম আল্লামা পিয়াল ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সুষমা রানী। শেরপুর থানার ওসি খান মোহাম্মদ এরফান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘটনার ব্যাখ্যা শুনতে শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও নার্স সুষমা রানীকে তলব করেছে হাই কোর্ট। আগামী ১৪ ডিসেম্বর দুইজনকে আদালতে হাজির হতে হবে। পাশাপাশি বগুড়া জেলা প্রশাসককে ঘটনাটি তদন্ত করে একই দিন প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। এছাড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন এটিএম নূরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার সিভিল সার্জন অর্ধেন্দু রায়। এ কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্তঃসত্ত্বা মাজেদা বেগমকে জোর করে বের করে দেন নার্স সুষমা। বের হবার সময় গেইটের কাছে সন্তান প্রসব করেন মাজেদা। এরপর দায়িত্বরত চিকিৎসক পিয়াল এসে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031